উন্নয়ন ডেস্ক –
রাজশাহীর পুঠিয়ায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এখলাস আলী (২০) নামে ধর্ষণ মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
পুঠিয়ায় সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া শ্যালিকা ইভাকে (১২) ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় এখলাস মামলার আসামি ছিলেন। তিনি গন্ডগোহালী গ্রামের কাশেমের ছেলে।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ইভা তার বড় ভগ্নিপতি উপজেলার হলহোলিয়া গ্রামের এখলাস আলীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। এই সুযোগে এখলাস আলী জুসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন অবস্থায় তার নাবালিকা শ্যালিকা ইভাকে ধর্ষণ করে।
পরে ৯ এপ্রিল দুপুরে রামজীবনপুর গ্রামের নিজ বাড়ি ফিরে লোকলজ্জায় ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ইভা আত্মহত্যা করে।
এ ঘটনায় এখলাস আলী ও তার বাবা-মাকে আসামি করে পুঠিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ইভা রাজশাহীর পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
ধর্ষণের শিকার ইভা খাতুনের আত্মহত্যার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও আসামিদের আটক করতে না পারায় এ ঘটনায় বিচারের দাবি নিয়ে অবশেষে রাস্তায় নামে তার হতভাগা বাবা।
গত ১০ জুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে ইভা খাতুনের বাবা ভ্যানচালক সেলিম হোসেন বিচারের আশায় মেয়ের ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার নিয়ে একাই দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিবাদ জানান।
র্যাব জানায়, র্যাব- ৫ রাজশাহী কর্তৃক মাদকবিরোধী অভিযানে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নিহত এবং ঘটনাস্থল হতে বিদেশি পিস্তল, ওয়ান শুটারগান, ম্যাগাজিন, গুলি ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫ রাজশাহীর একটি অপারেশন দল গতরাত ৩টা ৪৫ মিনিটে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন পীরগাছা এলাকায় বিশেষ মাদক উদ্ধার অভিযানে বের হয়।
এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ীরা র্যাব সদস্যদের উপর এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ আরম্ভ করলে আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যগণ পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ১০-১৫ মিনিট গোলাগুলির পর স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল তল্লাশি করে একজন অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ীকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। গোলাগুলিতে দুইজন র্যাব সদস্য আহত হয়।
উক্ত আহত ব্যক্তি এবং র্যাব সদস্যদের দ্রুত পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত মাদক ব্যবসায়ীকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে ১টি ৭.৬৫ মি. মি. বিদেশি পিস্তল, ওয়ান শুটারগান-১টি, তাজা গুলি-২ রাউন্ড, ম্যাগজিন-১টি, গুলির খালি খোসা ১টি, ইয়াবা ট্যাবলেট-৪৮০ পিস উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে এখলাস আলীর পরিচয় জানা যায়। তিনি তর শ্যালিকাকে ধর্ষণ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার আসামি।
