২০ লাখ মেট্রিক টন ধান ক্রয় লক্ষ্যমাত্রা উন্নীতের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ কৃষক সমিতি ও বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন চলতি মৌসুমে আমন ধান ক্রয় লক্ষ্যমাত্রা ২০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করাসহ নয় দফা দাবি জানিয়েছে।

বুধবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, সরকার আজ থেকে আমন ধান ক্রয় করার ঘোষণা দিয়েছে। উৎপাদনের বিপরীতে আমন ধান ক্রয়ের পরিমাণ খুব বেশি না হলেও এবারই প্রথম ব্যবসায়ীদের চেয়ে কৃষকদের কাছ থেকে বেশি পরিমাণ ধান কেনার ঘোষণা এসেছে। ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল দেশের উপকূলীয় দক্ষিণাঞ্চলের জেলা গুলোর উপরে আঘাত হানে। এতে উপজেলার শীতকালীন শাকসবজি সরিষা খেসারী অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি পুনর্বাসনে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ এবং দুর্যোগকালীন সময়ে সকল এনজিওর কিস্তি আদায় বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।

দাবি তুলে ধরে জাতীয় কৃষক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক বলেন, চলতি মৌসুমে আমন ধান কয় লক্ষ্যমাত্রা ২০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করতে হবে। কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত ৬ লাখ টন আমন ধান কৃষকের নামের তালিকা প্রণয়নের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং করে প্রচার ব্যবস্থা করতে হবে।  সরকারি গুদামে ধান সরবরাহকারী কৃষকদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করার লটারি প্রকাশ্যেই করতে হবে। এক্ষেত্রে দুর্নীতি ও দলীয়করণ কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা কেন্দ্রে মধ্যস্বত্বভোগী এবং মাস্তানদের দৌরাত্ম্য দমনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। উপজেলা খাদ্য শস্য ক্রয় কমিটিতে কার্যকর কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ক, গুদামজাত ও বিপণন করতে প্রতিটি উপজেলায় পেস্টিসাইড নির্মাণ করা এবং তার পরিচালনা সংশ্লিষ্ট এলাকার কো-অপারেটিভের উৎপাদক সমবায় এর উপর ন্যস্ত করতে হবে। ৮৭ এর ভূমি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বর্গাচাষীদের বরাদ্দ প্রদান করা এবং তাদের সমিতিতে সংগঠিত করে কৃষিঋণ প্রদান করতে হবে। উৎপাদক কৃষকের সমবায় করে ঋণের সুদ দেয়ার পাশাপাশি উৎপাদন উপকরণ যেমন সার্বিক কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি আরো বাড়াতে হবে।

এছাড়া, সমবায় আইনের সংশোধন করে আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে হবে।