অর্থনীতি ডেস্ক:
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এগ্রিকালচার মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড (প্রাণ) শেয়ারহোল্ডারদের ৩২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়াার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ এ লভ্যাংশ দেওয়াার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এতে শেয়ারহোল্ডাররা প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে নগদ ৩ টাকা ২০ পয়াসা করে পাবেন। এই লভ্যাংশের বিষয় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে আজ বৃহস্পতিবার বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত এই বার্ষিক সাধারণ সভায়া অংশ নিয়ে শেয়ারহোল্ডাররা তাদের মতামত জানাতে পারবেন। এরই মধ্যে লভ্যাংশ পাওয়াার যোগ্য বিনিয়োগকারী নির্বাচন করা হয়েছে।
লভ্যাংশ পাওয়াার যোগ্য বিনিয়োগকারী নির্বাচনে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়া গত ১৭ নভেম্বর। ওইদিন অর্থাৎ ১৭ নভেম্বর যেসব বিনিয়োগকারীর কাছে কোম্পানিটির শেয়ার ছিল তারাই লভ্যাংশ পাবেন।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের ব্যবসায়া এগ্রিকালচার মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড (প্রাণ) শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ৬২ পয়াসা মুনাফা করে। এই মুনাফা থেকেই বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ২০ পয়াসা লভ্যাংশ দেওয়াা হবে।
এদিকে, সম্প্রতি কোম্পানিটি চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়াী, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে এক টাকা ৯৫ পয়াসা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়া ২ টাকা ১৬ পয়াসা।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়াী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৮ টাকা ৫৪ পয়াসা। তিনি মাস আগে অর্থাৎ জুন শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ৮৬ টাকা ৫৯ পয়াসা।
কোম্পানিটির লভ্যাংশের তথ্য পর্যালোচনায়া দেখা যায়া, ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছরেই কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৩২ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
নিয়ামিত বড় লভ্যাংশ দিয়ে কোম্পানিটি শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে শেয়াারের দামেও। বর্তমানে (২৭ ডিসেম্বর লেনদেন শেষে) কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়াারের দাম দাঁড়িয়েছে ২৬২ টাকা ৩০ পয়াসা।
১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়াা এগ্রিকালচার মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড (প্রাণ)-এর পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৮ কোটি টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা ৮০ লাখ।
এই শেয়াারের মধ্যে ৪০ দশমিক ১৫ শতাংশই রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়াারের মধ্যে ৪৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার।