আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে সম্প্রতি জানা গিয়েছিল ভারতের প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাগরিকত্বের কোনো কাগজপত্র নেই। এবার একই আইনে জানা গিয়েছে, নাগরিক কোনো সনদ নেই দেশটির হরিয়ানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা মনোহরলাল খট্টর ও রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্যের।
তথ্য অধিকার আইনে আবেদনের পর সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরেরই নাগরিকত্বের প্রমাণ নেই। শুধু খট্টরের নয়, একইসঙ্গে হরিয়ানার রাজ্যপালেরও নাগরিকত্ব বিষয়ে কোনো তথ্য নেই সরকারের কাছে। খবর এনডিটিভির।
তথ্য জানার অধিকার আইনে এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে এল। নাগরিকত্বের প্রমাণ দাখিল নিয়ে চিৎকার করে চলা হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীই এবার জোর ফ্যাসাদে পড়েছেন। একইসঙ্গে হরিয়ানা মন্ত্রিসভারও কয়েকজনের নাকি একই অবস্থা।
চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি পি পি কাপুর নামে এক ব্যক্তি হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্য ও রাজ্য মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের নাগরিকত্বের প্রমাণ সম্পর্কে বিশদে জানতে চেয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এমত তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
পিপি কাপুর নামে ওই ব্যক্তির দায়ের করা আরটিআইয়ের প্রেক্ষিতে হরিয়ানার জনতথ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তার কাছে থাকা রেকর্ডে হরিয়ানার, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপালের নাগরিকত্বের প্রামণ নিয়ে প্রয়োজনীয় কোনো তথ্য নেই।
এর আগে রাজ্যে এনআরসি কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মনোহরলাল খট্টর। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রায় দেড় হাজার মানুষ পালিয়ে এসে হরিয়ানায় আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে মুসলিম পরিবার বাদে প্রত্যেককেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের আওতায় ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। #