মে ১৩, ২০২৪

আমাদের সম্পর্কে আরো জানুনঃ

চলে গেলেন অস্কারজয়ী ব্রিটিশ অভিনেত্রী গ্লেন্ডা জ্যাকসন

বেশ কিছুদিন ধরে তিনি বিভিন্ন ধরনের রোগে ভুগছিলেন। তিনি ১৫ জুন সকালে লন্ডনে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

তিনি সারাজীবন মঞ্চ ও ছোটপর্দায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন। মাঝে পেশা বদল করেছিলেন তিনি। ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা হিসেবে রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন গ্লেন্ডা। শেষ জীবনে আবার ফিরেছিলেন অভিনয়ে।

জ্যাকসনের সহকারী লিওনেল লার্নার জানিয়েছেন, লন্ডনের বাড়িতে বৃহস্পতিবার স্বল্প অসুস্থতার পর মারা যান গ্লেন্ডা। সদ্য ‘দ্য গ্রেট এস্কেপার’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছিলেন অভিনেত্রী। মাইকেল কেন ছিলেন তার সহ-অভিনেতা। সিনেমা মুক্তি আর দেখে যাওয়া হলো না গ্লেন্ডার।

১৯৩৬ সালে উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের বিরখেনহেডে জন্ম গ্লেন্ডার। লন্ডনের রয়্যাল অ্যাকাডেমি অফ ড্রামাটিক আর্ট-এ অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৬০ থেকে সত্তরের দশকের সবচেয়ে বড় ব্রিটিশ তারকাদের একজন হয়ে উঠেছিলেন গ্লেন্ডা।

পর পর দুটি বছর অস্কার জিতেছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে ‘উইমেন ইন লাভ’-এর জন্য এবং ১৯৭৪ সালে ‘আ টাচ অফ ক্লাস’ সিনোমর জন্য এ সম্মান পেয়েছিলেন।

এরপর তিনি রাজনীতিতে আসেন। ১৯৯২ সালে সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তিনি লেবার পার্টির একজন আইনপ্রণেতা হিসেবে ২৩ বছর অতিবাহিত করেন।

১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের প্রথম সরকারে পরিবহন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণের জন্য ব্লেয়ারের সঙ্গে মতবিরোধে গিয়েছিলেন গ্লেন্ডা। জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়াই আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধে নামার সিদ্ধান্ত তাকে ব্যথিত করে।

২০১৫ সালে পার্লামেন্ট ছেড়ে অভিনয়ে ফিরে আসেন গ্লেন্ডা। শেক্সপিয়রের নাটক ‘কিং লিয়ার’-এ তাকে দেখে মুগ্ধ হন নাট্যমোদীরা। বিপুল জনপ্রিয় হয় সেই প্রযোজনা। থিয়েটার ছিল গ্লেন্ডার প্রাণ। তবে অভিনয়ে প্রত্যাবর্তনের পর পর্দায় এসেছিলেন একটু দেরিতেই।

২০১৯ সালে ‘এলিজাবেথ ইজ মিসিং’-এ প্রায় তিন দশক পর গ্লেন্ডাকে দেখা গিয়েছিল। আবারও পুরস্কৃত হন ‘বাফতা’ সম্মানে। গ্লেন্ডার মৃত্যুতে বিনোদন এবং রাজনীতি জগতের সহকর্মীরা শোকপ্রকাশ করেছেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Reddit